ঢাকা,শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

শুরু হবে সমুদ্রপথে হজযাত্রা

চকরিয়া নিউজ ডেস্ক ::

একদা হজে যাওয়ার একমাত্র উপায় ছিল সমুদ্রপথ। আমাদের এই অঞ্চলের মানুষ জাহাজে ওঠার জন্য গিয়ে জড়ো হতেন মুম্বাইয়ে। তখনও মুম্বাইকে বোম্বাই বলা হতো এবং ওই পর্যন্ত পৌঁছার পরও হজে যেতে ব্যর্থ হওয়াদের রসিকতা করে ‘বোম্বাই হাজি’ বলা হতো। গত শতাব্দীর ষাটের দশক পর্যন্ত সমুদ্রপথে হজযাত্রা অব্যাহত ছিল। সময় একটু বেশি লাগলেও এতে খরচও বেশ সাশ্রয় হতো। বাংলাদেশের হাজিরা যাতে আবার সমুদ্রপথে হজে যেতে পারেন, সে জন্য হজ জাহাজ চালু করতে যাচ্ছে সরকার। নৌ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা এরই মধ্যে এ নিয়ে একাধিক সভা করেছেন। সভায় সমুদ্রপথে হজ জাহাজ চালুর কার্যক্রম কীভাবে সহজতর করা যায়- সেটা নিয়ে চুলচেরা বিশ্নেষণ ও পর্যালোচনা হয়।

বাংলাদেশে সমুদ্রপথে হজযাত্রা দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকলেও আফ্রিকার দুটি দেশ এরই মধ্যে সমুদ্রপথে হজযাত্রীদের সৌদি আরবে পাঠিয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতও একই পথ অনুসরণ করছে। আগামী বছর সমুদ্রপথে সৌদি আরবে হজযাত্রী পাঠাবে তারা। বাংলাদেশও এখন নৌপথ অনুসরণ করতে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, কীভাবে সমুদ্রপথে হজযাত্রা চালু করা যায়, সে ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর মোজাম্মেল হক বলেন, নৌপরিবহনমন্ত্রীর নির্দেশনার পর প্রাথমিক পর্যায়ে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর উপায়ও খোঁজা হয়েছে। প্রতি বছর বিমানে হজযাত্রী পাঠাতে যে ধরনের ঝামেলা ও সংকট তৈরি হয়, সমুদ্রপথকে কাজে লাগানো সম্ভব হলে তা অনেক কমবে। সময় একটু বেশি লাগলেও খরচ অনেক কম হবে।

তিনি আরও বলেন, দুটি মাধ্যমে এ কাজটি করা যেতে পারে। একটি সরকারিভাবে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) মাধ্যমে জাহাজ কিনে হজ জাহাজ চালু করা যেতে পারে। অন্যটি বেসরকারি শিপিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন নিজেরা উদ্যোগী হয়ে জাহাজ কিনে সরকারের অনুমতি নিয়ে এ কাজে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারে।

পাঠকের মতামত: